বিপিএলে ভাষা শহীদদের স্মরণে বাংলা ধারাভাষ্য
প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৬:৪২ এএম

ছবিঃ সংগৃহীত
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রাজপথে প্রাণ দেন সালাম-বরকত-রফিকরা। এরপর দিনটি স্বীকৃতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।
ভাষার জন্য আত্মত্যাগ করা সেসব শহীদদের স্মরণে ভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা জানিয়েছে, ভাষা শহীদদের স্মরণে শুক্রবার বাংলায় চলবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দুই ম্যাচের ধারাভাষ্য।
আজ শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের গ্রুপ পর্বের শেষদিনের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন ভাষা শহীদদের স্মরণে ধারাভাষ্যকাররা বাংলায় ধারাভাষ্য দেবেন। তবে পুরো ম্যাচের ধারাভাষ্য বাংলায় হচ্ছে। বিদেশি ধারাভাষ্যকাররাও ম্যাচ বিবরণী দেবেন। তবে বিদেশি ধারাভাষ্যকারেরাও তাদের ধারাভাষ্যর সময় কিছু বাংলা শব্দ ব্যবহার করবেন।
ম্যাচের শুরু ও শেষের পরও থাকছে বিশেষ আয়োজন। ম্যাচের আগে সাক্ষাৎকার হবে বাংলাতে। সেই সঙ্গে ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও হবে তাই। শুক্রবার ম্যাচ খেলতে নামা চারটি দলই বিশেষ ধরনের একটি আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামবেন। ক্রিকেটারদের আর্মব্যান্ডে বাংলা বর্ণমালা লেখা থাকবে।
১০ ফেব্রুয়ারির ম্যাচে আন্তর্জার্তিক মাতৃভাষা দিবস ও ভাষার মাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিসিবির গৃহীত বিশেষ কার্যক্রম:
১) সকল ধারাভাষ্যকার ও উপস্থাপক বাংলা বর্ণমালা সম্বলিত বিশেষ পোশাক পরবেন।
২) ধারাভাষ্যকাররা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর ইতিহাস ও গুরুত্ব নিয়ে খেলা চলাকালীন আলোচনা করবেন। (ইংরেজি ও বাংলায়)
৩) বাংলাদেশি ধারাভাষ্যকাররা বাংলাতে ধারাভাষ্য দিবেন এবং বিদেশি ধারাভাষ্যকারেরাও তাদের ধারাভাষ্যর সময় কিছু বাংলা শব্দ ব্যবহার করবেন।
৪) খেলা শুরুর আগে খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে বাংলায়।
৫) ম্যাচ-পরবর্তী উপস্থাপনা ও সাক্ষাৎকার নেয়া হবে বাংলাতে (প্রয়োজন ভেদে ইংরেজিতে। তবে সেটা শুধুমাত্র বিদেশী খেলোয়াড়দের জন্য যদি তাদের মধ্যে কেউ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হন)।
৬) সকল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়, খেলা পরিচালনাকারী কর্মকর্তা, ধারাভাষ্যকার ও উপস্থাপক বাংলা বর্ণমালা সম্বলিত বিশেষ বাহুবন্ধনী পরবেন।
৭) মাঠে অবস্থিত এলইডি বড় পর্দায় ভাষার মাসের কিছু উক্তি প্রদর্শিত হবে।