রোজা শেষে ঈদের খাবারে মেনে চলুন সর্তকতা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:৪৬ পিএম


রোজা শেষে ঈদের খাবারে মেনে চলুন সর্তকতা

ছবিঃ প্রতীকি

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রমজানে আমাদের খাওয়াদাওয়ার নিয়মকানুন থাকে ভিন্ন রকম। রোজা শেষে আবার ফিরে যাই গতানুগতিক খাদ্যাভ্যাসে।

ঠিক ঈদের দিন থেকেই বদলে যায় পুরো এক মাস মেনে চলা নিয়মকানুন, বিশেষ করে নিজের বাড়িতে ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে এ সময়ে খাওয়াদাওয়ার বিশেষ আয়োজন থাকে। তবে পুরো মাস যাঁরা রোজা রেখেছেন, পুরনো খাদ্যাভ্যাসে ফিরতে তাঁদের একটু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

যাদের কোনো শারীরিক সমস্যা নেই, হজমেও সমস্যা নেই কিংবা তরুণ তারা সবই খেতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন খাওয়াটা যেন অতিরিক্ত না হয়।

চর্বিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা ভালো। অনেক সময় দেখা যায় বেশি পরিমাণে মাংস, বিরিয়ারি খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা থাকে কিংবা বুক জ্বালাপোড়াও করতে পারে। ঈদের দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়।

যেহেতু এক মাস একই নিয়মে রোজা রাখার পর ঈদের সকালে প্রথম খেতে হচ্ছে, সেহেতু হঠাৎ একসঙ্গে বেশি খাবার খেয়ে ফেলা ঠিক নয়। এতে বদহজম, পেটে অস্বস্তিসহ নানা সমস্যা হতে পারে। তাই একটু হালকা খাবার খাওয়াই ভালো। সে ক্ষেত্রে দুধ, চাল ও গুড় দিয়ে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন ফিরনি, যা থেকে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও মিনারেল পাওয়া যায়। ফলের জুস বা ফলও থাকতে পারে সকালের খাবারে।

এ ছাড়া তেলছাড়া পাতলা পরোটা আর সবজিও খাওয়া যেতে পারে। তবে ঈদের দিন ডিম না খাওয়াই ভালো। কেননা এই উৎসবে মাংস খাওয়া হয় বেশি। তাই ডিম না খেলে পুষ্টির একটা ভারসাম্য থাকে।

যাঁদের আগে থেকে অসুখ আছে যেমন-কিডনি, হার্টের রোগী, লিভারের রোগী, বাতের রোগী, ডায়াবেটিসের রোগী, উচ্চ রক্তচাপের গী-তাঁদের ঈদের খাবারে বিশেষ সতর্ক থাকা উচিত। অন্যান্য সাধারণ দিনে তাঁদের খাবারের যে রুটিন ছিল তা এদিনও মেনে চলা উচিত।

কিডনি রোগীদের মাংস বা প্রোটিনজাতীয় খাবার কম খাওয়া উচিত। পাশাপাশি তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। সেমাই, জর্দা, পায়েস না খেয়ে চটপটি, সালাদ, লাচ্ছি ইত্যাদি খাওয়া ভালো।

ঈদে মাংস বেশি খাওয়া হয় বলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অ্যানালফিশার বা হিমোরয়েড (পাইলস) রোগীরা সবজি, আঁশযুক্ত খাবার, সালাদ, পানি বেশি খাবেন।

ডায়াবেটিস রোগীদের সুগারের সমস্যা আছে, তাই ভাজাপোড়া খাবারও নিয়ন্ত্রণে রেখে খেতে হবে। ঈদের দিন বিভিন্ন ধরনের তেলে ভাজা কাবাব, চিকেন ফ্রাই, চপ এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
 

Link copied