আইন মানছেন না বরগুনার জেলা প্রশাসন

সফিকুল ইসলাম রাসেল, নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:২১ এএম


আইন মানছেন না বরগুনার জেলা প্রশাসন

ছবিঃ সংগৃহীত

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ওয়াটার্সকিপার বাংলাদেশ এর আয়োজনে খাকদোন নদ রক্ষায় নদীর তীরের জমির ইজারা বাতিল, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও নদী খনন এর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

ধান-নদী-খাল এই ৩ নিয়ে বরিশাল, বহুল প্রচলিত এই কথাটির অর্থ হারিয়ে যাচ্ছে বরগুনায়। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের বিভাগ বরিশাল এবং বরিশালের মধ্যে সর্বশেষ জেলা বরগুনা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ইলিশের জেলা বলা হয় এই বরগুনাকে। 

একসময়ের বিশাল আকৃতির এই খাকদোন নদী প্রশাসনের পায়তারায় এখন মরতে বসেছে। যেখানে সরকারি আইন রয়েছে নদী খাল ভরাট করে কোন স্থাপনা নয় সেখানে বরগুনার প্রশাসন পুরোটাই ভিন্ন রূপ নিয়েছে, একের পর এক গড়ে তুলেছেন অবৈধ স্থাপনা, নদী ভরাট করে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করেছেন তারা। কোটি কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য করে নদী ভরাটের মাধ্যমে অবৈধভাবে ডিসিআর দিচ্ছেন। 

মাত্র কয়েক মাস আগে বরগুনার সাবেক জেলা প্রশাসক জনাব হাবিবুর রহমান আদালতের নির্দেশে বরগুনার মাছ বাজার উচ্ছেদ করেন। কিন্তু উচ্ছেদের কয়েক দিন পরেই নতুন করে ডিসিআর দেন মাছ বাজার। এই ডিসিআরে নতুন করে ৭৬টি ঘরের বরাদ্দ দিয়েছেন, যেখানে সাড়ে আট কোটি টাকা ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। 

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ, বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বরগুনা চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জনাব আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর কবির এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আদালতের নির্দেশে ঘর উচ্ছেদ করে আবার পুনরায় কার নির্দেশে ইজারা দিয়েছেন? আমরা জেনেছি এখানে সাড়ে ৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এই টাকা অবিলম্বে ব্যবসায়ীদেরকে ফিরিয়ে দিন। অন্যথায় আমি কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিবো।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খাকদোন নদী ভরাট করে আশ্রয়ন প্রকল্প তৈরি করেছেন সদ্য বিদায়ী ইউএনও মো. কাওসার হোসেন। বক্তারা বলেন, ইউএনও মহোদয়কে আমরা প্রশ্ন করেছিলাম, সরকারি আইন অমান্য করে আপনি নদী ভরাট করে কেন আশ্রয়ন প্রকল্প করিতেছেন তিনি হাস্যকর একটি জবাব দিয়েছিলেন, বলেন সরকারি টাকা রক্ষার্থে আমরা নদীরে তীরে আশ্রয়ণ তৈরি করেছি যাতে নতুন জমি কিনে সরকারের টাকার ক্ষতি না হয়। 

বক্তারা আরো বলেন, একজন বিসিএস ক্যাডার, একটি জেলার সর্বোচ্চ দায়িত্ব থাকা একজন সরকারি লোক এত বড় ঘুষখোর ও দুর্নীতিবাজ হয় কিভাবে, তারা এত বড় সাহস পায় কিভাবে।

মানববন্ধন আয়োজকরা কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অতিলম্বে নদীর তীরের জমি অবৈধ ইজারা বাতিল করতে হবে, নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে এবং নদী খনন করে বরগুনাকে রক্ষা করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।

Link copied