মহাসড়কের ওপর ড্রেজিংয়ের বালু-পানিতে যান চলাচল ব্যাহত

ফিরোজ আহম্মেদ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৩৩ পিএম


মহাসড়কের ওপর ড্রেজিংয়ের বালু-পানিতে যান চলাচল ব্যাহত

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বাংলাদেশ হ্যাচারীর সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর বালু আর পানি পড়ে দূরপাল্লার যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি পথচারীদের চলাচলেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকায় বাল্কহেড থেকে পানি মিশ্রিত বালু মোটা পাইপের মাধ্যমে বাংলাদেশ হ্যাচারীর ভিটে ভরাট করা হচ্ছে। আজ বুধবার সকালে ড্রেজিংয়ের ওই পাইপ ফেটে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরেই বাংলাদেশ হ্যাচারী নামক বড় মুরগির ফার্ম। ইউনিয়ন পরিষদ আর মুরগির ফার্মের মাঝামাঝি স্থানে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর প্রায় হাঁটু সমান বালু মিশ্রিত কাঁদাপানির স্তুপ আর জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

তার পাশ দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা ঢাকাগামী দূরপাল্লার যাত্রীবাহি বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন ছুঁটে যাচ্ছে। ওই স্থানে আসা মাত্র সকল গাড়ির গতি রীতিমতো কমে যাচ্ছে। বালু-কাঁদা পানিতে গাড়ির চাকা খুব ধীর গতিতে যায়। এসময় গাড়ির চাকায় কাঁদা-পানি ছিটে আশপাশ নোংরা হচ্ছে।

এসময় দেখা যায়, মুরগির ফার্মের পিছনের অনেক জায়গা ভরাটের জন্য প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ক্যানালঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে নোঙরে রাখা বাল্কহেড থেকে বালু পাইপের সাহায্যে আনা হচ্ছে। ওই পাইপ ফেটে বালু-পানি বের হয়ে ওই স্থানে বিশাল জায়গা জুড়ে স্তুপে পরিণত হয়েছে। সেই সাথে মহাসড়কে বালুর স্তুপে পানি আটকে জলাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। এতে করে মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

রাজবাড়ী থেকে আসা ঢাকাগামী একটি দূরপাল্লার পরিবহনের সহকারী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মহাসড়কে এমন কাঁদা-পানি থাকায় চলাচলে কিছুটা সমস্যা তো হয়ই। বালু ব্যবসায়ীদের দ্রুত সড়ক থেকে বালু অপসারণ করা দরকার। না হলে আরো সমস্যা হতে পারে।

ঢাকামুখী একটি প্রাইভেটকার দ্রুত গতিতে আসতে থাকলেও ওই স্থানে এসে পানি আর বালুর স্তুপ দেখে ব্রেক কষে পড়েন। এসময় পরিচয় জানতে চাইলে বলেন, তার নাম ফয়সাল হোসেন। ফরিদপুর থেকে মানিকগঞ্জ যাচ্ছেন। হঠাৎ সড়কের ওপর কাঁদা-পানির স্তুপ দেখে দাড়িয়ে পড়লাম। এর ভেতর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন মুহুর্তে গাড়ির চাকা আটকাতে পারে। এই শঙ্কা নিয়েও তিনি পরে পার হয়ে যান।

জানতে চাইলে বালু ব্যবসায়ী সরোয়ার মোল্যা বলেন, বাংলাদেশ হ্যাচারী কর্তৃপক্ষ জুট মিলের জন্য পিছনের জায়গা ভরাট করে ভিটে করছেন। ট্রাকের সাহায্যে মাটি ফেলা সম্ভব নয় বলে ভরাট বালু ফেলা হচ্ছে। মানিকগঞ্জের শিবালয় থেকে বাল্কহেড ভর্তি ভরাট বালু এনে ক্যানালঘাট এলাকায় বসিয়ে পাইপের সাহায্যে এখানে ফেলা হচ্ছে। ৭ টাকা ফুট হিসেবে তিনিসহ কয়েকজন মিলে এই বালু ফেলছেন।

তিনি বলেন, পানি মিশ্রিত বালু ফেলতে গেলে অনেক সময় পানির প্রেসারে পাইপ ফেটে যায়। বুধবার সকালে পাইপ ফেটে গেলে পানি আর বালু সড়কের ওপর পরে সমস্যা হয়। ড্রেজার বন্ধ করে দুপুর থেকে শ্রমিক দিয়ে সড়কের ওপর থেকে বালু সরিয়ে ফেলছি। আশা করি যানবাহন চলাচলে তেমন আর কোন সমস্যা হবে না। 

Link copied