হাতিয়ায় 'মোখা' স্বাভাবিক অবস্থায়, বাড়ছে ভাঙ্গনের আতঙ্ক
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৩, ০৩:৪১ পিএম

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট
ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'র প্রভাব নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। মাঝেমধ্যে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, বাতাসের গতিবেগও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সাগর উত্তাল থাকায় প্রচণ্ড ঢেউয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙ্গনের আতঙ্ক বাড়ছে।
সকাল থেকে হাতিয়ার আকাশ ঘোমট অবস্থায় রয়েছে, মাঝেমধ্যে একটুআধটু বৃষ্টি হচ্ছে, মৃদু বাতাস বইছে। তবে নদীতীরবর্তী এলাকা সমূহে স্বাভাবিকতার চেয়ে একটু বেশি বাতাস বইছে, নদীভাঙ্গনের মাত্রাও বাড়ছে। আর এই নদীভাঙ্গনের আতঙ্কেই দিশেহারা নদীতীরের মানুষের।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক ও বিপদ সংকেত বলবৎ থাকায় হাতিয়ার সাথে দেশের মূল ভূখণ্ডের সাথে নদী পারাপারের সকল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর থেকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বলবৎ থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলার ১নং হরনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.আকতার হোসেন, নলচিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনছুর উল্যাহ্ শিবলী এবং নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আফসার দিনাজ জানান, জোয়ার এবং বাতাসের গতিবেগ স্বাভাবিক রয়েছে, তবে নদীভাঙ্গন বাড়ছে।
নিরাপদ আশ্রয়ে জনমানুষের যাওয়ার ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য এই তিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান'রা জানান, সাইক্লোন সেন্টারগুলোতে যাওয়ার ব্যাপারে মানুষজন তেমন একটা আগ্রহী নয়, যে কয়জন যায় তারা আবার অবস্থা বুঝে থাকে কিংবা চলে আসে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' মোকাবেলায় মেডিকেল টিম ও জরুরি সেবাসহ সকল প্রকার প্রস্তুতি রয়েছে।