পদ্মায় নিখোঁজ পশু ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

ফিরোজ আহম্মেদ ও জহুরুল ইসলাম হালিম, রাজবাড়ী

প্রকাশিত: ৪ মে ২০২৩, ০২:৫২ পিএম


পদ্মায় নিখোঁজ পশু ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৪ নম্বর ফেরি ঘাটের ২০০-৩০০ গজ দূরে পশু ব্যবসায়ীদের বহনকৃত ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে ডাকাতিকালে পদ্মা নদীতে লাফিয়ে জীবন বাঁচানোর জন্য ঝাপিয়ে পড়া পশু ব্যবসায়ী দুলাল কুমার পাল (৫০) এর রক্তাক্ত মরদেহ ৭২ ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশের একটি দল।

নিহত পশু ব্যাবসায়ী দুলাল কুমার পাল রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়নের বানীবহ এলাকার মৃত অনিল কুমার পালের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (০৪ মে) বিকেল ৩ টার দিকে পদ্মা নদীর মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাদলপুর চর এলাকায় ভাসমান অবস্থায় স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পান। এরপর নিহতের স্বজনদের মুঠোফোনে জানালে নিহতের ভাই বকুল কুমার পাল বাদলপুর যেয়ে তার ভাইয়ের (দাদার) মৃতদেহ সনাক্ত করে।পরে দৌলতদিয়া ঘাট নৌপুলিশকে খবর দিলে নৌপুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

মরদেহ সনাক্তকারী নিহতের আপন ছোট ভাই বকুল কুমার পাল বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেল ২ টার দিকে মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাট থেকে ট্রলারে গরু ও ছাগল ব্যবসায়ীসহ ৫০-৬০ জন দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে। ঐদিন বিকেল ৩টার দিকে দৌলতদিয়া ৪ নম্বর ফেরি ঘাটের অদুরে স্পীড বোট যোগে সংঘবদ্ধ ১৮-২০ জনের একটি ডাকাত দল এসে সবাইকে মারধর করে তাদের কাছে থাকা গরু ও ছাগল বিক্রির টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আরো ৪ জন ব্যাবসায়ীসহ দুলাল কুমার পাল ৪ টি গরু বিক্রির টাকা নিয়ে জীবন বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দিলেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।

নদীতে ঝাপ দেওয়ার সময় তার কোমরে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ছিল বলে জানান নিহতের ভাই অনুকুল কুমার পাল। কিন্তু মৃতদেহ উদ্ধারের সময় দেখা যায় তার কোমরে অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং কোমরের গামছাও নেই। ডাকাতরা তাকে কোমরে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গামছা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এই ডাকাতির সাথে জড়িত ৭ জন ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ। তাদের নিকট থেকে ডাকাতির নগদ ৩৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৪২ টাকা উদ্ধার এবং তাদের ব্যবহৃত স্পীডবোট তল্লাশি করে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ৪ টি, গুলি ১১ রাউন্ড, কাটার ১টি, ছেনী ৬টি, ৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেএম সিরাজুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দৌলতদিয়া ট্রলারে ডাকাতির সময় নদীতে ঝাপিয়ে পড়া ব্যাবসায়ীর ছোট ভাইসহ আত্মীয় স্বজন পদ্মা নদীতে খোঁজাখুজি করেন। পরে এক পর্যায়ে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাদলপুর চর এলাকায় পাওয়া গেছে বলে আমাদের জানালে আমরা সেখান থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসি। ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

Link copied