হৃদয় হত্যা মামলায় ১৬ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১৬ এএম

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট
২৫ মে, ২০২০ সালে ঈদের দিন পায়রা নদীর পারে গোলবুনিয়ায় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যান হৃদয়। তখন সেখানে বসা নিয়ে বন্ধুদের সাথে বাকবিতন্ডায় এক পর্যায়ে বন্ধুরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। মূহুর্তে ভিডিও ছড়িয়ে পরে সারা নেট দুনিয়ায়।
হত্যার পরেরদিন হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম বরগুনা থানায় ১৯ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। বিভিন্ন সময়ে আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়। মামলা থেকে জামিন নিয়ে ৩ জন পলাতক ছিলেন।
দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন বছর পর আজ আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেছেন শিশু আদালতের বিচারক ও জেলা সিনিয়র জজ জনাব মশিউর রহমান খান।
এ রায়ে ১২ জনকে ১০ বছরের আটকাদেশ, ৪ জনকে ৭ বছরের আটকাদেশ ও ৩ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
১০ বছর মেয়াদে আটকাদেশ ১২ জন আসামীরা হলেন:
১. ইউনুছ কাজী অরফে ইউনুছ
২. মো: রানা আকন
৩. মো: ইমন হাওলাদার
৪. মো: জুয়েল কাজী
৫. মো: নয়ন হাওলাদার (পলাতক)
৬. মো: সজিব (পলাতক)
৭. নাজমুল শিকদার
৮. রাইয়ান বিন অন্তর অরফে অন্তর
৯. সিফাত ইসলাম (পলাতক)
১০. মো: মোশারেফ
১১. মো: সাইফুল মৃধা
১২. মো: রাব্বি
৭ বছর মেয়াদে আটকাদেশ ৪ জন আসামিরা হলেন:
১. মো: সাগর গাজী
২. মো: সাইফুল কাজী
৩. সোহাগ কাজী
৪. মো: ফাইজুল ইসলাম
খালাস পাওয়া ৩ জন আসামিরা হলেন:
১. মো: শফিকুল ইসলাম
২. মো: নাঈম কাজী
৩. মো: রবিউল ইসলাম
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিশু আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল এবং হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাড মোস্তফা কাদের বলেন, বরগুনার চাঞ্চল্য হৃদয় হত্যার বিচার কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে করা হয়েছে এবং ন্যায় বিচার হয়েছে। এজন্য আমি বরগুনা শিশু আদালতকে ধন্যবাদ জানাই।