উত্ত্যক্তকারীর দায়ের কোপে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু

রানা আকন্দ, নেত্রকোনা

প্রকাশিত: ৩ মে ২০২৩, ০২:৩২ পিএম


উত্ত্যক্তকারীর দায়ের কোপে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নেত্রকোনার বারহাট্টায় উত্ত্যক্তকারী বখাটের দায়ের কোপে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তি বর্মন (১৬) এর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে অভিযুক্ত কে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

একইদিন দুপুরে ২৪ ঘন্টার ভিতরে জেলা ডিবি পুলিশ অভিযুক্তের বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত বখাটে কাওছারকে।

গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত বখাটে কাওছার মিয়া (১৮) উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে। নিহত মুক্তি বর্মন একই গ্রামের নিখিল বর্মনের মেয়ে ও প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

নিহত মুক্তির সহপাঠী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে মুক্তি ও তার সহপাঠীরা বাড়ি ফিরছিলেন। পথে হঠাৎ করে কাউছার এসে ধারালো দা দিয়ে মুক্তিকে কোপাতে শুরু করে। তখন তার সহপাঠীদের চিৎকারে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নিহতের বড় বোন রুজিনা রানী বর্মন বলেন, ‘কাউছার আমাকেও উত্ত্যক্ত করত। তার হুমকির কারণে পঞ্চম শ্রেণি পাসের পর আমি নেত্রকোনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। আমি কাউছারের বাবার কাছে নালিশ করেছিলাম কিন্তু তাতে কোন কাজ হয় নাই।

আমি নেত্রকোনা চলে যাওয়ার পর থেকেই সে আমার বোন মুক্তিকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। তার প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় আমার বোনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমি এ ঘৃণ্য অপরাধের সুষ্ঠু বিচার চাই।

পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ জানান, অভিযুক্ত কাওছার মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব ও উত্ত্যক্ত করে আসছিল। প্রেমে প্রত্যাক্ষিত হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মুক্তিকে।

বারহাট্টা উপজেলার গোপালপুর বাজার থেকে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সে একটি দা কিনে আনে। হত্যার ঘটনায় আসামি গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ তাৎক্ষনিক দিক নির্দেশনা দেন। জেলা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার সমন্বয়ে চারটি টিমে বিভক্ত হয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।

বুধবার দুপুরে ডিবি পুলিশ কাওছারের বাড়ির পাশের জঙ্গলে গাছের উপর থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর সে মেয়েটিকে তিনটি কোপ দিয়েছে বলে স্বীকার করেন কাওছার মিয়া।

Link copied