বরগুনায় জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫০ এএম

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট
রেকর্ডীয় সম্পত্তির দেয়াল ভেঙে রাস্তা করে দেয়ায় জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
বরগুনা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের হাইস্কুল সড়কের নির্মল চন্দ্র রায়, রিপন রায়, পরিমল চন্দ্র রায় একত্রিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, মাধব সরকার ও কপিল রায়ের পক্ষ নিয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আল নুর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আমাদের বসতবাড়ি দেয়াল ভেঙে দেয়।
নির্মল চন্দ্র রায়গং অভিযোগ করে বলেন, বরগুনা সদর উপজেলাধীন ৩০ নং মৌজায় এস,এ ৯৯৫/১০৬৫/৯২৮/৩৭০ নং খতিয়ানে হাল দাগ নং ৬৮৭/৬৮৬/৬৮৫ মোট জমির পরিমান ১-০২ শতাংশ।
উক্ত জমিতে আমরা পৈত্রিক সূত্রে ওয়ারিশ নিযুক্ত থাকিয়া বহু বছর যাবত ঘরবাড়ি তৈরি করিয়া আইল সীমানা বন্টন মোতাবেক ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি। তাহাতে বিবাদীরা বিভিন্ন সময় অন্যায় ভাবে ভাক্ত দাবী করিয়া জোরপূর্বক দখল করার পায়তারা চালাইয়া আসিতে থাকে। বিবাদীরা প্রভাবশালী মহলের লোক। আমরা গরীব দিনমজুর দিনমজুরের কাজ করিয়া জীবিকা নির্বাহ করি।
তারা অভিযোগ করে আরো বলেন, বিবাদীরা প্রভাব খাটাইয়া ইং ২২/০৩/২০২৩ তারিখ বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় হইতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আল নুর কতৃক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া আমাদের পৈত্রিক রেকর্ডীয় সম্পত্তির বসতবাড়ীর মধ্যে অনুপ্রবেশ করিয়া বাড়ি ঘর নির্মান ভাঙচুর করিয়া ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আল নূর সহকারী (ভূমি) মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আমরা দরখাস্তকারী আমাদের স্ত্রী ১. সঞ্জিতা রানী, ২. সীমা, ৩. গীতা রানী রায় দেরকে গ্রেফতার করিয়া নিয়া আসিয়া পি,সি-১৮৬০ এর ৫৩ ধারা মতে প্রত্যেককে ১০০০/- টাকা করে জরিমানা করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। যাহা আইনের বহির্ভূত।
তারা আরো বলেন, আদালতের রায় ব্যতীত কোন মালিকানা রেকর্ডিও সম্পত্তিতে বাড়ি ঘরের ওয়াল ভাঙচুর করার এখতিয়ার বা ক্ষমতা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নাই। যাহা অন্যায় অবিচারের শামিল, প্রশাসনের দ্বারা আমরা গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছি। বিচার চাই।