ঈদে যাত্রীদের আতঙ্কের নাম বাস
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:৫৭ পিএম

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। দীর্ঘ কর্ম ব্যস্ততার পর পরিবার-পরিজনদের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ইট পাথরের শহর ছাড়েন লাখো মানুষ। দীর্ঘ যাত্রাপথে যথাসময়ে টিকিট পাওয়া তো সোনার হরিণ। আর টিকিট পেলেই গুণতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া।
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে এবার ঢাকা ছেড়েছে আনুমানিক ১৩লক্ষ এর অধিক মানুষ। ট্রেনে অত্যাধুনিক সিস্টেম যুক্ত করায় গত ২০শে এপ্রিল পর্যন্ত যাত্রাপথে ভোগান্তি তেমন লক্ষ্য করা যায় নি। তবে ঈদযাত্রার শেষদিন সকল বাধা উপেক্ষা করে ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রেনের ছাদে উঠে যায় ঘরমুখো মানুষ।
► শেষদিকে উপচেপড়া ভিড়, ট্রেনের ছাদে মানুষ
এদিকে ঈদের দিনও রাজধানী ছাড়তে দেখা গেছে হাজারো মানুষকে।
রাজধানীর বাস কাউন্টারগুলো থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে গাড়ি ছাড়তে দেখা গেছে। যাত্রীর চাপ বেশি না থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ি না ছাড়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। তবে বাস কাউন্টার থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, গাড়ি ঢাকায় যথাসময়ে না ফেরায় ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
সরেজমিনে মহাখালী বাস কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, একাধিক যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণছেন। তারা জানায়, প্রতি টিকেটে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
একতা পরিবহন এর যাত্রী মাকসুদুর রহমান জানান, আমি পরিবারসহ গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য চারটি টিকিট ক্রয় করি। চারটি টিকেটে আমাকে অতিরিক্ত গুণতে হয়েছে ৪৮০ টাকা।
শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের যাত্রী আনোয়ারুল জানান, ঢাকা থেকে নওগাঁ'র নির্ধারিত ভাড়া ৬৮০ টাকা। কিন্তু সেখানে তাকে গুণতে হচ্ছে ৮০০টাকা।
যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া আদায় করলেও টিকিটে লিখা থাকে নির্ধারিত ভাড়া। তাহলে অতিরিক্ত ভাড়া যাচ্ছে কোথায়?
এসকল বিষয় নিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালে একতা পরিবহনের দায়িত্বে থাকা মোঃ শাহিনের সাথে কথা হয় একাত্তর পোস্টের। তিনি বলেন, ৬৮০ টাকা নির্ধারিত ভাড়া। ১২০ টাকা ঈদ বকশিস। ঈদ উপলক্ষ্যে এ টাকাটা আমরা বেশি নিচ্ছি।
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার জন্য বাস মালিক সমিতি থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয় নি। তাহলে কেনো তারা বেশি ভাড়া আদায় করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো উত্তর দিতে নারাজ একতা পরিবহনের এ কর্মকর্তা।
তবে ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে না এনা পরিবহন। মহাখালী বাস টার্মিনালে এনা পরিবহনের দায়িত্বে থাকা পথিক জানান, এতে পূর্বের ভাড়া-ই নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত কোনো বকশিস বা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না।