রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের প্রতীকী জানাজা

ফারজানা খান সারথি, রাবি

প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৩, ০২:০৮ পিএম


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের প্রতীকী জানাজা

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও ঘটনায় উপস্থিত না থেকে নিরব ভূমিকা পালন করার অভিযোগ এনে প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তার প্রতীকী জানাজা পড়েন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে কফিন বক্সকে প্রক্টর প্রতীকী সাজিয়ে এ জানাজার নামাজ পড়েন তারা। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগ টেনে মোনাজাতও করেন তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে কফিনের বাক্স এনে তাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মারা গেছে লিখেছেন এবং প্রক্টরের জানাজার জন্য প্রতীকী লাশ বানিয়ে জানাজা পড়তেও দেখা যায়।

প্রতীকী জানাজার নামাজ শেষে হাত তুলে মোনাজাত করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। জানাজা ও দোয়া শেষে প্রতীকী কফিন বক্স আগুনে ফেলে দেন তারা।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারকে প্রায় ২ঘন্টা যাবত অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তার বাস ভবনে পৌঁছে দিয়ে আসেন।

সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবরোধ করেও আন্দোলন করেন তারা।

উল্লেখ্য, বাসের ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর বাজারে স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়।

সংঘর্ষের একপর্যায়ে স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করেন। মহাসড়কের দুই পাশ থেকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন।

সংঘর্ষে আহত হয়ে প্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

Link copied