কুবিতে সিএসই বিভাগে শুরু হয়েছে ইউএসএ ভিত্তিক বৃত্তি প্রদান

মারুফ শেখ, কুবি

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০২৩, ০২:০৩ পিএম


কুবিতে সিএসই বিভাগে শুরু হয়েছে ইউএসএ ভিত্তিক বৃত্তি প্রদান

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষারত সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. কামাল হোসেন চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে বিভাগটিতে শুরু হয়েছে "সোপান" নামের মেধাবৃত্তির প্রকল্প। প্রতি মাসে বিভাগের এগারো জন মেধাবী শিক্ষার্থী এই মেধা বৃত্তি পাচ্ছেন।

মোঃ কামাল হোসেন চৌধুরী  যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক গোলাম মাওলাসহ ২২ জন প্রবাসী বাংলাদেশীর সহায়তা নিয়ে এই মেধা বৃত্তির কার্যক্রম চালু করেন।

এ নিয়ে মোঃ কামাল হোসেন চৌধুরী বলেন, 'আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থী নিজের খরচ যোগাড় করতে গিয়ে পড়াশোনায় সময় দিতে পারছে না। অথচ সামান্য অর্থনৈতিক সহায়তা করলেই তারা ভালো অবস্থানে যেতে পারবে। সেই জায়গা থেকে আমরা ''সোপান" এর কার্যক্রম শুরু করেছি।

আশা করছি, পরবর্তী সময়ে এর কার্যক্রম আরও বড় পরিসরে হবে। নর্থ ক্যারোলাইনাতে অবস্থানরত ২২ জন প্রবাসী বাংলাদেশীর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ, তারা এগিয়ে না আসলে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের সহায়তা করা সম্ভব হতো না। মূলত বিভাগটির মেধাবী এবং প্রোগ্রামিংয়ে পারদর্শী কিন্তু আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা এ মেধা বৃত্তির সুবিধা পাচ্ছে।

এ সম্পর্কে বৃত্তি প্রকল্পের সমন্বয়ক ও সিএসই সোসাইটির আহবায়ক কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদা খাতুন বলেন, সোপানের মেধা বৃত্তির জন্য বিভাগের এগারো জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের ছয় মাসের জন্য নির্বাচিত করা হয়। এই ছয় মাসে তাদের কিছু একাডেমিক কাজ দেওয়া হয়।

সেগুলো পূরণ করতে পারলে পরবর্তী সেমিস্টারের জন্য তারা মনোনীত হবে। নতুবা তার জায়গায় অন্য কোনো শিক্ষার্থীকে আনা হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য বিভাগের দশজন শিক্ষক মেন্টর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি আশা করি এই বৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরো বেশি সময় তাদের একাডেমিক কাজে ব্যয় করবে এবং তাদের ভবিষ্যৎ সাফল্যে বিভাগ গর্বিত হবে।

বিভাগ থেকে এই মেধাবৃত্তি পেয়ে শিক্ষার্থীরাও হচ্ছেন উপকৃত। বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন, 'প্রতি মাসে আমার পরিবারকে টাকা পাঠাতে হয়। আগে আমি চারটা টিউশনি করাতাম। বৃত্তির টাকা পাওয়ার পর থেকে আমি আমার টিউশনির সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছি। এখন আমি আমার একাডেমিক পড়াশোনায় বেশি সময় দিতে পারছি।

এরকম কার্যক্রমের আওতায় যাতে আরও শিক্ষার্থীদের আনা যায় সে ব্যাপারে আশাবাদী বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এ নিয়ে সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পার্থ চক্রবর্ত্তী বলেন, এই বৃত্তি আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বড় সুযোগ। প্রতি মাসে আমাদের ১১ জন শিক্ষার্থী পাঁচ হাজার করে টাকা পাচ্ছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোনো বিভাগে এরকম উদ্যোগ নেই। আমি আশাকরি এরকম কার্যক্রমে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রতিমাসে ১১ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করে আসছে "সোপান"।

Link copied