নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের মানতে হবে একাধিক নির্দেশনা
প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম

প্রতীকী ছবি
পৃথিবীর যেকোনো স্থানে ঘটে যাওয়া সকল খবর জনগণের কাছে দ্রুত পৌঁছাতে সর্বাত্নক চেষ্টা করে সাংবাদিকরা। সঠিক সংবাদ তুলে ধরতে গিয়ে প্রায়ই বিভিন্নভাবে নির্যাতিত ও অপদস্ত হতে হয় তাদের। সকল বাঁধা অতিক্রম করে সঠিক সংবাদ তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছে শত শত সাংবাদিক।
তবে এবার নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে গণমাধ্যমকর্মীদের মানতে হবে বিশেষ নির্দেশনা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের অন্তত ৮ মাস আগেই সকল নির্বাচনের জন্য এই ‘সাংবাদিক নীতিমালা’ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হকের সই করা এ নীতিমালা জারি করা হয়।
এসব নীতিমালা না মানলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীর নামে ইস্যু করা কার্ড বাতিল করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলেও নীতিমালায় বলা হয়েছে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশসহ নির্বাচনী এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্বাচন কমিশন এ নীতিমালা প্রকাশ করেছে বলে জানানো হয়েছে।
জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন এবং যেকোনো উপনির্বাচনে এই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, ভোট গ্রহণের দিন নির্বাচনী এলাকায় যানবাহন চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তবে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা চলাচলের জন্য যানবাহন ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য কমিশন যৌক্তিকসংখ্যক যানবাহনের স্টিকার সরবরাহ করবে। তবে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না।
মাঠপর্যায়ে সাংবাদিকদের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক সাংবাদিক পরিচয়পত্র, সাপোর্ট স্টাফ (মিডিয়া) পরিচয়পত্র এবং গাড়ির স্টিকার অন্যান্য নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশের বিষয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা সরাসরি কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রিসাইডিং অফিসারকে জানিয়ে ছবি তুলতে, তথ্য সংগ্রহ করতে ও ভিডিও ধারণ করতে পারবেন। তবে কোনোভাবেই কেন্দ্রের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। এমনকি গোপন কক্ষের ভেতরের ছবি তোলা, ভিডিও করা যাবে না।
ভোটকেন্দ্রে একই সঙ্গে দুটির বেশি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেবে না নির্বাচন কমিশন। তারা ১০ মিনিটের বেশি ভোটকক্ষে অবস্থান করতেও পারবেন না। কেন্দ্রের ভেতরে নির্বাচনী কর্মকর্তা, এজেন্ট ও ভোটারের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না।
সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা ভোট গণনা দেখতে পারবেন। ছবি তুলতে, ভিডিও করতে পারবেন। কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন না, এমনটাই জানানো হয়েছে নীতিমালায়। বলা হয়েছে, ভোটকক্ষ থেকে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে।
এতে আরো বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকেরা প্রিসাইডিং অফিসারের নির্দেশনা মেনে চলবেন। ভোটকেন্দ্রের কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয় এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন। নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করবেন না। কোনো ধরনের নির্বাচনী উপকরণ স্পর্শ কিংবা অপসারণ করা যাবে না। নির্বাচনের সময় কোনো প্রার্থীর বা রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচারণা চালানো থেকেও বিরত থাকতে হবে।