সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৫নং খোকশাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে  “অভিবাসনে সুশাসন নিশ্চিতকরণ ও বিদেশ ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ” বিষয়ে ইউনিয়ন অ্যাডভোকেসি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে খোকশাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে উক্ত অ্যাডভোকেসি কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, মোঃ রাশীদুল হাসান রশিদ (রশিদ মোল্লা)।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সময়ে অভিবাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। অভিবাসন খাতকে উন্নত করার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ব্র্যাক সরকারের এই কাজকে সহযোগিতা করছে। ব্র্যাককে ধন্যবাদ। আমার ইউনিয়নের প্রচুর মানুষ বিদেশে আছে এবং এখনো যাচ্ছে। তাই আমি মনে করি তাদের জন্য এই তথ্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে যারা বিদেশে গিয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফেরত এসেছে তাদের জন্য ব্র্যাকের যে সহযোগিতা তা খুবই প্রশংসার দাবিদার। ব্র্যাকের এই কাজকে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব। সবকিছু ভালো লেগেছে। ব্র্যাক এবং ব্র্যাকের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ এত সুন্দর আয়োজন আমার ইউনিয়নে করার জন্য। আমি উপস্থিত সকল ইপি সদস্য এবং আরও যারা আছেন সবাইকে অনুরোধ করব আজকের কর্মশালার তথ্যগুলো গ্রামের প্রতিটি এলাকায় আপনারা পৌঁছে দিবেন।

এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ব্র্যাককে সাধুবাদ জানান তিনি।

এ কর্মশালায় খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের সচিব মোঃ শফিকুল ইসলাম, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ হেলাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য মোছাঃ মনিজা বেগম, মোছাঃ ছাঈদা খাতুন বক্তব্যে রাখেন এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, স্কুলশিক্ষক, ইমাম, সমাজসেবক, বিদেশ ফেরত অভিবাসী, অভিবাসী পরিবারের সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালাটি সঞ্চালনা ও সার্বিক সহযোগিতা করেন, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ফিল্ড অর্গানাইজার মোঃ শরিফুল ইসলাম। 

অ্যাডভোকেসি কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম সিরাজগঞ্জের ফিল্ড অর্গানাইজার মোঃ জাকারিয়া হোসেন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, মানবপাচার, অভিবাসনের বর্তমান চিত্র, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভিবাসনের উপর এর প্রভাব ও প্রকল্পের কার্যক্রম ও পরিকল্পনাসমূহ আলোচনার মধ্যে তুলে ধরেন।

মুক্ত আলোচনায় বিদেশ ফেরত মোসাঃ মমতা খাতুন বলেন, "ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রেগ্রামের আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে পু্নরায় ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছি। অনিরাপদ ভাবে বিদেশ গেলে যে কত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেটা আমি নিজ চোখে দেখেছি। অনিরাপদ উপায়ে বিদেশ যাওয়া যাবে না, দক্ষ হয়ে সঠিক মাধ্যমে বিদেশ যেতে হবে। আজকের এই কর্মশালায় আমাকে দাওয়াত দেয়ার জন্য আমি গর্ববোধ করছি। কারণ এ ধরনের কর্মশালা এর আগে কখনো দাওয়াত পাইনি। ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশ ফেরতদের নিয়ে ব্র্যাকের যে চিন্তা ধারা তা খুবই ভালো লেগেছে। তবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে যদি সহজ শর্ত থাকতো তাহলে আরও আমরা উপকৃত হতেন বলে তিনি মনে করেন।