প্রক্সি দিয়ে লিখিত পরীক্ষা পার, মৌখিক পরীক্ষায় ধরা ৭ চাকরিপ্রার্থী

মাসুদ রানা বাচ্চু, সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১০ পিএম


প্রক্সি দিয়ে লিখিত পরীক্ষা পার, মৌখিক পরীক্ষায় ধরা ৭ চাকরিপ্রার্থী

ছবিঃ সংগৃহীত

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ২০তম গ্রেডের অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ পরীক্ষায় একজনের পরিবর্তে আরেক জন পরীক্ষা দিয়েছে। পরে মৌখিক পরীক্ষায় ধরা পড়ায় ৭ জন পরীক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও কর্মচারী নিয়োগ বাছাই কমিটির (সদস্য-সচিব) শিমুল আক্তার বাদী হয়ে সোমবার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।

আটককৃত ভুয়া পরীক্ষার্থীরা হলেন, সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ফিরোজ উদ্দিন (রোল নম্বর- ৩২০০০২৯৮), তাড়াশ উপজেলার নিমগাছীর বিষমডাঙ্গা গ্রামের আবু তাহের সরকারের ছেলে লোকমান হোসেন (রোল নম্বর- ৩২০০২৯০৩), কামারখন্দ উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে রাশিদুল ইসলাম সুজন (রোল নম্বর-৩২০০২৩৯৮), শাহজাদপুর উপজেলার মুরুটিয়া গ্রামের, এলাহী প্রামানিকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (রোল নম্বর- ৩২০০১১৬৮), উল্লাপাড়া উপজেলার বাখুয়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মজিবর রহমান (রোল নম্বর- ৩২০০৪১২৫), কামারখন্দ উপজেলার চর-দোগাছি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে হাবিবুল্লা বেলালী (রোল নম্বর- ৩২০০৪৬০৫) এবং উল্লাপাড়া উপজেলার গোয়ালজানী পূর্বপাড়া গ্রামের হেনা মন্ডলের ছেলে এনামুল হক (রোল নম্বর- ৩২০০৪৩৩৯)।

মামলার সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে (২২ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), অফিস কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট ২০তম গ্রেডের কর্মচারী নিয়োগ বাছাই কমিটি এর উপস্থিতিতে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন আটককৃত  আসামিদের কাগজপত্র যাচাই বাছাই এর সময়ে তাদের হাতের লেখার সাথে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের হাতের লেখার কোন  মিল নেই। যার কারণে উল্লিখিত আসামিদের বিভিন্ন কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে লিখিত পরীক্ষায় তারা অন্যদের দ্বারা লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রে লিখিয়ে নেয়। এ ঘটনায় পরীক্ষার্থীরা বোর্ডে উপস্থিত সদস্যদের সামনে লিখিত স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।

পরে সদর থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ৭ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ভুয়া পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Link copied