হামলার ঘটনায় মন্ত্রীপুত্রের সংশ্লিষ্টতা পায়নি নেসকো
প্রকাশিত: ৩১ অগাস্ট ২০২৩, ০৪:০৬ পিএম

ছবিঃ প্রতীকি
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামানের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে বিধিবহির্ভূত বক্তব্যে দেওয়ার অভিযোগে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী রকি চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার নেসকোর উপ-মহাব্যবস্থাপক রহমত উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়। নেসকো রংপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান নির্বাহী প্রকৌশলী রকি চন্দ্র দাসের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে নেসেকো অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এমন অভিযোগ নির্বাহী প্রকৌশলী রকি চন্দ্র দাসের। এই ঘটনায় ওই দিনই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে নেসকো।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে কালীগঞ্জ নেসকো অফিস পরিদর্শন করেন নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিরুল ইসলাম। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও তার ছেলে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিপক্ষে সংবাদমাধ্যমকে বক্তব্য দেন নির্বাহী প্রকৌশলী রকি চন্দ্র দাস। সেখানে তিনি তার অফিস ভাঙচুরসহ বেশ কিছু অভিযোগ করেন। পরে তার রেকর্ড করা বক্তব্য গণমাধ্যমসহ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় ওই দিনই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে নেসকো।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ছেলে রাকিবুজ্জামান নিবার্হী প্রকৌশলী রকি চন্দ্র দাসকে তার ব্যক্তিগত চেম্বারে দেখা করতে বলেছিলেন। কিন্তু এই কর্মকর্তা দেখা করেননি। এ কারণে মঙ্গলবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সহসভাপতি নুরনবী ইসলামের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মী নেসকো অফিসে হামলা চালায়। প্রকৌশলী রকি চন্দ্র দাস ও কর্মচারীদের মারধর করেন।
রকি চন্দ্র দাস গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলা হয়, জামাত-শিবির করিস। রাজাকার। এত বড় সাহস মন্ত্রীর পুত্রের ডাকে সাড়া দিস নাই।
মন্ত্রীপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ এ ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি হামলার ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানি না। হামলাকারীরা যদি আমার নাম ব্যবহার করে তাহলে এটা দুঃখজনক। ঘটনার দায়ভার হামলাকারীদেরই নিতে হবে। সামনে নির্বাচন। তাই কেউ আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে আমার নাম ভাঙিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আমিও বিষয়টি খতিয়ে দেখছি ।
ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিরুল ইসলাম জানান, অফিস ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ও তার ছেলে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। কেন তার নাম বলা হলো তা সহ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো হবে এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত এবং মূলত কি ঘটেছে সেই দিন।