সিরাজগঞ্জে শয়নকক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৩, ০২:৫৯ পিএম

ছবিঃ প্রতীকী
সিরাজগঞ্জ কামারখন্দে শয়নকক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, স্ত্রী কে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার (১৩ মে) দিবাগত রাতে কোনো একসময় কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের চৌবাড়ি দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্বামী স্ত্রী হলেন- চৌবাড়ি গ্রামের সবের মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম (২১) তার স্ত্রী বেলকুচি উপজেলার তামাই কুঠিপাড়া গ্রামের নুরু শেখের মেয়ে নূরী খাতুন (১৯)।
স্থানীয় লোক জন জানান, রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালিয়েছে শফিকুল। এর আগেও দুইটি বিয়ে করেছিল শফিকুল দুই স্ত্রীকেই তালাক দিয়েছিল। নূরী ছিল শফিকুলের তৃতীয় নং স্ত্রী। তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল।
নিহত শফিকুলের বাবা সবের মোল্লা বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৯টা বাজে কিন্তু শফিকুল ও নূরী ঘুম থেকে না উঠায় দরজায় গিয়ে ডাকতে থাকি। তখনও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালা ভেংগে দেখি ছেলে ঘরের ধর্ণার সঙ্গে ঝুলছে আর ছেলের বউ মেঝেতে পড়ে আছে। পরে ঘরের দরজা কেটে ছেলের মরদেহ নিচে নামাই। তখন আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
নিহত নূরী খাতুনের মা ফরিদা বেগম জানান, বছর খানেক আগে পারিবারিকভাবে শফিকুলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। বিয়ের পর থেকে মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। একপর্যায়ে পরিবার থেকে মেয়ে ও জামাই আলাদা হয়ে যায়।
কয়েক দিন আগে মেয়ের শ্বশুরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়ায় মেয়ে ও জামাই আমাদের বাড়িতে চলে আসে। এর পর তাদের অনেক বোঝানোর পর তারা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে যায়। তিনি দাবি করে বলেন, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় কামারখন্দ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী প্রধান বলেন, কলহের জেরে শফিকুল তার স্ত্রী নূরীকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি ও সিআইডি বিষয়টি তদন্ত করছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত শেষ হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।