যোগাযোগ এবং বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন হাসিনা-মোদি
প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৫ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগে আয়োজক দেশ তথা এসময়ে এই আন্তর্জাতিক শীর্ষ গোষ্ঠীর সভাপতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে দুই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ আলোচনা করেন। তারা দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ এবং বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
শুক্রবার মালয়শিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথের সাথে আলোচনার পরের দিনের দ্বিতীয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে। এদিন পিএমও এর তরফে জারিকৃত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার "সৃজনশীল আলোচনা" হয়েছে।
ভারতের মতে, গত ৯ বছরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের অগ্রগতি যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। পিএমও এর তরফে প্রধানমন্ত্রী মোদির বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযোগ এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ন দ্বিপাক্ষিক ক্ষেত্রগুলিকেও কভার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আরো জানায় যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বৈচিত্র্য আনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন। তারা যোগাযোগ, বাণিজ্য ও সংস্কৃতি সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দু'দেশের সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন। পাশাপাশি দু'দেশের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আগামী দিনে আরও মসৃণ করার জন্য উভয়েই কাজ করবেন বলে ঐক্যমতে পৌঁছান।
প্রসঙ্গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দুই দিনের সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রায় ১৫টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন যে, আমি বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধনকে আরও গভীর করতে বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র নেতা এবং প্রতিনিধি দলের প্রধানদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করব।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সম্মেলন শুরুর আগেই বৈঠক সেরে নিলেন তিনি।
এদিকে জি-২০ এর দুই দিনের সম্মলনে ভারত অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি, ডিজিটাল উদ্ভাবন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং ন্যায়সঙ্গত বৈশ্বিক স্বাস্থ্যর মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেবে বলে জানিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এই জি-২০ এর সদস্য দেশগুলি বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৮৫% শতাংশ। এছাড়া বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশের বেশি এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে জি-২০'র সদস্য দেশগুলো।
এরকম একটি বৃহত্তর ও শক্তিশালী বিশ্ব জোটের সম্মলনে গ্রুপের সদস্য না হলেও ভারতের বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে এতে বাংলাদেশের যোগদান যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করবে। ভারত-বাংলাদেশ এই দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে।
এই বিশ্ব সম্মলনে জি-২০ এর সদস্য দেশ হিসেবে বৃটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো যোগ দিয়েছে। জি-২০ এর সম্মেলনকে ঘিরে দিল্লিতে যেন চাঁদের হাট বসেছে।