ময়মনসিংহে যুদ্ধাপরাধের তিন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৩, ০৪:২৭ পিএম

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট
ময়মনসিংহে যুদ্ধাপরাধের তিন মামলায় ৬০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলিম উদ্দিন খানকে (৭৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাঈদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আলিম উদ্দিন খান গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকার সাধুয়া গ্রামে মৃত আব্দুল গফুর খানের ছেলে।
পরে ( রোববার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আলিম উদ্দিনকে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক দেওয়ান মনিরুজ্জামান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক ঝুঁটন কুমার বর্মণ বলেন, গফরগাওঁ উপজেলার পাগলা থানা পুলিশ যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি আলিম উদ্দিন খানকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বরাত দিয়ে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, আলিম উদ্দিন খান ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ভূমিকায় লিপ্ত ছিলেন। তিনি তার সশস্ত্র রাজাকার সহযোগী ফয়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক, সামসুজ্জামান কালাম, আব্দুল খালেক, বাদশা, খলিলুর রহমান মীরদের নেতৃত্ব দিয়ে গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারি, টাংগাব, দত্তেরবাজার ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়, ধর্ষণ, হত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে অংশগ্রহণ করেন।
এসব ঘটনায় ২০১৪ সালের সাধুয়ার গ্রামে আফাজ উদ্দিন বাদী হয়ে তিনিসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করেন। ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ট্রাইবুন্যাল তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার পর থেকে আলিম উদ্দিন খান পলাকত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল মো. আলিম উদ্দিন খানকে তিন মামলায় ২০ বছর করে সাজা দেন। অপর চারজনকে ২০ বছর এবং তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আদালত।
ওসি রাশেদুজ্জামান আরও বলেন, তিন মামলায় ২০ বছর করে সাজাপ্রাপ্ত আলিম উদ্দিনকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।