গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে অনাস্থা

আব্দুল হান্নান আকন্দ, গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩৩ এএম


গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে অনাস্থা

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাদের ওপর অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন পরিষদের ১০ জন সদস্য। এ বিষয়ে তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেন, পরস্পর যোগসাজশে ইউপি চেয়ারম্যান ও পরিষদ সচিব দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর ওই ইউনিয়নে ভোট হয়। কিন্তু ২০২৩ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত এনজিও থেকে মাত্র ৪টি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাকি কমিটি না করে ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

সেই সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের মাতৃকালীন ভাতার তালিকা মনগড়া জমা দিয়েছেন চেয়ারম্যান ও সচিব। এ বিষয়ে ইউপি সদস্যদের কিছু জানানো হয়নি। একই অর্থ বছরের উন্নয়ন সহায়তা তহবিল ওয়ার্ড সভা এবং সদস্যদের রেজুলেশন ছাড়া প্রকল্প জমা দিয়েছেন।

এ ছাড়াও বিগত দিনের উদ্যোক্তাকে বাদ দিয়ে নতুন অযোগ্য অদক্ষ উদ্যোক্তা নিয়োগ দেন এবং চেয়ারম্যান নিজস্ব লোক মো. আতিকুর রহমানকে উদ্যোক্তার অফিসে বসান। তিনি হরহামেশায় বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে থাকেন। এ ছাড়াও সাধারণ জনগণ ও ইউপি সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত হাট-বাজারের ১ থেকে ১০ শতাংশ বরাদ্দ ইউপি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করেই চেয়ারম্যান নিজে ইচ্ছেমতো বণ্টন করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের সভা না করেই সভার ভুয়া রেজুলেশন প্রদর্শন এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করাসহ, কাজ না করেই কাগজে-কলমে উন্নয়নকাজ দেখিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগও করেছেন ইউপি সদস্যরা।

তবে  শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মুকুল ও সচিব মো. মিজানুর রহমান তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট উল্লেখ করে বলেন, ‘তাঁরা (ইউপি সদস্যরা) আমাদের কাছ থেকে কিছু অনৈতিক সুবিধা চেয়েছিলেন। এতে আমরা রাজি হয়নি। সে কারণেই তাঁরা আমাদের জড়িয়ে এ ধরনের অপবাদ রটাচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘গতকাল রোববার এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Link copied