বিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্য ও দূর্নীতির অভিযোগে মানববন্ধন
প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৩, ০২:৪৪ পিএম

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট
নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়াগে বাণিজ্য ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটি ওই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শূন্য পদের নিয়োগে অর্থ-বাণিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ স্হায়ীকরণে বাঁধা দেয় অভিভাবক ও স্হানীয়রা। নিয়োগে অনিয়ম, অর্থ-বাণিজ্য ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী, অভিভাবক এবং ভূক্তভোগীগণ। শুক্রবার সকালে শ্যামগঞ্জ বাজারের জারিয়া মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ওই বিদ্যালয়ে একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক, একজন ল্যাব সহকারী, দুই জন নিরাপত্তা কর্মী, একজন অফিস সহায়ক, একজন নৈশ প্রহরী ও একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়াগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গোয়ালাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, গোয়ালাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসনাত জামান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দীন আকন্দ, জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ বিদ্যালয়ের জমিদাতা হাজী সরাফ উদ্দীন সরকার, পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল গফুর, অভিভাবক সদস্য আজিজুর রহমান, নাইটগার্ড আবুল কালাম সহ প্রমূখ।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশরাফ আলীসহ স্হানীয় প্রভাশালী আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতার যোগসাজশে অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ দিতে চাচ্ছে। অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও অবৈধ পরিচালনা কমিটি বাতিলসহ প্রধান শিক্ষকের অপসাারণের দাবি জানান অভিভাবক ও স্হানীয়রা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন। মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে নিয়াগের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন স্হানীয়রা। নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু তা উপেক্ষা করে প্রভাবশালীদের চাপে অবৈধভাবে শুক্রবার নিয়োগ পরীক্ষা নিচ্ছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন। অবিলম্বে নিয়াগ বন্ধ না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে জানান বক্তারা।
এসময় নাইটগার্ড আবুল কালাম বলেন, তিন বছর যাবত অস্হায়ী নিয়োগে নাইটগার্ড হিসেবে কাজ করছি। স্হায়ী নিয়োগের জন্য প্রথমে ১০ লক্ষ টাকা, পরে ৬ লক্ষ টাকা দাবি করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ নেতৃবৃৃন্দ। গরীব মানুষ এত টাকা কোথায় পাব।
জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী মুঠোফানে জানান, অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়টি মিথ্যা-বানোয়াট। নিয়াগের বিষয়ে আলোচনা চলছে। কাগজপত্রের ত্রুটি আছে। তাই একটু লেইট হচ্ছে।
জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে আদালতে একটি অভিযোগ ছিল। এটার জবাব দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতে আরেকটি অভিযোগ রয়েছে। উৎকোচ গ্রহণের বিষয়টি সঠিক নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে, সমস্যাটি নিষ্পত্তি হবে।
পূর্বধলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। দুইটি পক্ষের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দের কারণে থানায় একটি জিডি হয়েছে। নিয়োগের বিষয়টি মাউশি’র মাধ্যমে সমাধান হবে। এ ঘটনায় কোন আইনশৃংখলার অবনতি ঘটে নি।