আমতলীতে কোন ধান সংগ্রহ হয়নি খাদ্যগুদামে
প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারী ২০২৩, ১০:২৬ এএম

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট
বরগুনার আমতলী উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে সরকারিভাবে কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য গুদাম।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ধান চাল সংগ্রহ প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ের দেড় মাস অতিবাহিত হলেও কৃষকদের কাছ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। একদিকে সরকার নির্ধারিত ধানের দাম কম। অন্যদিকে নানা বিধি-নিষেধ থাকায় চাষিরা ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
কৃষকদের অভিযোগ, গুদামে ধান দিতে গেলে নানাবিধ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। সরকারি মূল্যের সঙ্গে বাজারদরের সামঞ্জস্য না থাকায় এ সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকার ঘোষিত সারা দেশের ন্যায় এ উপজেলায় চলতি বছরে সরকার নির্ধারিত ২৮ টাকা কেজি দরে এক হাজার ৩৯৭ টন আমন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
কৃষকদের কাছ থেকে আমন সংগ্রহ ১৭ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকলেও এ কার্যক্রমের দেড়মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার কৃষকেরা সরকার নির্ধারিত এ মূল্যে ধান দিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন।
একাধিক কৃষকেরা বলছেন, সরকারি মূল্য এক হাজার ১২০ টাকা করে প্রতি মণ ধান কিনছে খাদ্য গুদাম। অথচ বাড়ি থেকে ব্যাপারিরা ধান কিনছেন প্রতি মণ এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২৫০ টাকা দরে। অনেক সময় ধানের আর্দ্রতা পরিমাপের জটিলতায় অনেক দূর থেকে বয়ে নিয়ে গিয়েও পুনরায় ধান নিয়ে ফিরিয়ে আনতে হচ্ছে কৃষকদের। যা এক প্রকারের হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না।
এছাড়া নামমাত্র ধান চাল সংগ্রহে উপজেলা কমিটি থাকলেও তৃণমূলপর্যায়ে তাদের কোনো প্রচার-প্রচারণা নেই। আবার অনেকেই জানেন না ধান দেয়ার নির্ধারিত সময়।
আমতলী উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুময়ুন কবির বলেন, ধানের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় এখন পর্যন্ত আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহ করতে পারিনি। তবে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে ধান ক্রয়ের চেষ্টা চলছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ধান চাল সংগ্রহ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি খোজ নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।