গ্রেনেড হামলায় বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে রাবি'তে মানববন্ধন
প্রকাশিত: ২১ অগাস্ট ২০২৩, ০১:১৯ পিএম

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট
২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকা অপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ।
রোববার (২১ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে তারা এই মানববন্ধন আয়োজন করেন।
এ সময় মানববন্ধনে একাগ্রতা পোষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুল রহমান প্রামানিক, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ।
এ সময় মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, অতীতে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে আমরা সবগুলো বিচার চাই। এবং ভবিষ্যতের জন্য আমাদের প্রস্তুতি দরকার। সেই প্রস্তুতিগুলো শিক্ষকদের তিনটা পর্যায়ে নেওয়া সম্ভব। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় সংখ্যক শিক্ষক ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি চায় না। যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে মনে করেন ছাত্র রাজনীতি না থাকা ভালো তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার যোগ্যতা নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি থাকাটা খুবই দরকার। কারণ ছাত্র রাজনীতিতে সচেতন হয়ে দেশকেই তারা নেতৃত্ব দিবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম কামরুল আহসানের সঞ্চলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, দেশকে মেধা ও নেতৃত্ব শূন্য করতে তৎকালীন মৌলবাদী জামায়াত-বিএনপির জোট সরকার যে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল সে ঘটনায় ২৪ জনকে প্রাণ দিতে হয়েছে। পাকিস্তানি পন্থায় দেশকে পরিচালনা করতে এই হত্যাকান্ড চালানো হয়। গ্রেনেড হামলায় যারা আহত হয়েছিলো তাদেরকে চিকিৎসা সেবাও নিতে দেওয়া হয়নি যেন তারা রাস্তায় মারা যায়। এ ছিলো তৎকালীন জোট সরকারের ঘৃণ্য রাজনীতি।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা পরিণত হয়েছে। দেশে যখনি নির্বাচন আসে তখন সরকারের অপপ্রচার আরও বেগবান হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসলে আজানের ধ্বনি শুনা যাবে না এমন সব মিথ্যাচার চালানো হয়। বাংলাদেশে থাকতে হলে দেশের সংবিধান মেনে চলতে হবে। এসময় সকলকে বিচারের কাঠগড়ায় আনতে সরকারের কাছে আহবান জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ২০০৪ সালে দেশের মানুষ যখন শেখ হাসিনার উপর বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন তখনি এই নারকীয় হত্যাকান্ড গ্রেনেড হামলা চালায় মৌলবাদী বিএনপি সরকার। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর শেখানো পথ দিয়েই হাটছেন। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট আল্লাহ নিজে শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাকে দিয়ে ভালো কাজ হচ্ছে এবং হবে এজন্যই তিনি বেঁচে আছেন। জনগণের হৃদয়ের উত্তাপ থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম। ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছিলো নেতাকর্মীরা এখন রক্ষা করবে দেশের জনগণ। এসময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগর, প্রানরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পুরণঞ্জিত মহালদার। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।