দুর্গোৎসবকালীন বিশেষ প্যাকেজে ত্রিপুরায় আসছে ১.৫০ টন ইলিশ
প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:০৮ এএম

ছবিঃ প্রতীকি
মাছের রাজা হিসাবে খ্যাত ইলিশের নাম শোনার সাথেই খাদ্য রসিক বাঙালির মুখে জল এসে যায়। ভারতের বাঙালিরা তাদের প্রিয় এই ইলিশের জন্য নির্ভর বাংলাদেশের উপর। বছর ভর সামান্য কিছু ইলিশ ত্রিপুরা সহ পশ্চিম বঙ্গের বাজারে পাওয়া যায় বটে, তবে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। যার জন্য এর দামও থাকে আকাশ ছোঁয়া। তাই ইচ্ছে থাকলেও নিম্ন আয়ের মানুষ ইলিশের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন না।
তবে উৎসবের দিনগুলোয় অর্থাৎ দুর্গোৎসব, ভ্রাতৃ দ্বিতীয়ার মত দিনগুলোয় ইলিশের জন্য বাজেট রাখে ধনী থেকে গরীব প্রায় সব বাঙালি। তাই এসময় বাংলাদেশ থেকে বিশেষ উৎসব প্যাকেজে ইলিশ আসার খবরে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে এপারের বাঙালিদের। যেমন- পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার বাঙালিরা।
গত বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ এবছর ভারতে তাদের ইলিশ রপ্তানির পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে বলে প্রচার চলছিল। তাই বাংলাদেশের ইলিশ এবার পুরোটাই পশ্চিম বঙ্গে চলে যাবে ধারণা করছিলেন ত্রিপুরার মানুষ।
কারণ বাংলাদেশ সরকার এবার ভারতে মাছ রপ্তানি করা মাত্র ৭৯টি ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এদেরকে আবার সর্বাধিক ৫০ টন ইলিশ রপ্তানির ঊর্ধ্বসীমার পাশাপাশি ৩০ দিনের সময় সীমা বেঁধে দিয়েছে। সেই সময় সীমা আগামী ৩০শে অক্টোবর শেষ হয়ে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার মত ছোট রাজ্যে ইলিশ না পাঠিয়ে পুরো বরাদ্দ পশ্চিম বঙ্গে পাঠিয়ে দেবে। পরে কলকাতা থেকে বিমান বা সড়ক পথে ত্রিপুরার ব্যাবসায়ীরা সেই ইলিশ আনবেন। এই ক্ষেত্রে উৎসবের দিনগুলোয় ইলিশের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে যাবে ত্রিপুরার ইলিশ প্রিয় বাঙালিদের জন্য।
তবে শুক্রবার স্বস্তির খবর এসেছে ত্রিপুরায়। বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরার জন্যও পৃথক ভাবে ১৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করা হবে। এই রপ্তানি প্রক্রিয়াও ১লা অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৩০শে অক্টোবর শেষ হবে।
আসন্ন দুর্গোৎসব সহ বাঙালির উৎসবকালীন মরশুমে প্রিয় ইলিশের আগমনের খবর শুক্রবার আগরতলায় এসে পৌঁছেছে। এই খবরে ত্রিপুরার বাসিন্দারা বেশ আনন্দিত। মাছের রাজা খ্যাত সামুদ্রিক রূপালী খাবারের স্বাদ নেওয়ার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ত্রিপুরার খাদ্যরসিক বাঙালিরাও।