পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রসারে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৩ এএম

ছবিঃ সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সরকার পর্যটন শিল্পের যথাযথ গুরুত্ব অনুধাবন করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই শিল্পের প্রসারে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমাদের সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বিভিন্ন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১০ সালে জাতীয় পর্যটন উন্নয়ন নীতিমালা ঘোষণা করা হয়েছে- যাতে টেকসই পর্যটন উন্নয়নের লক্ষ্যে ইকো-ট্যুরিজম, কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজম, দায়িত্বশীল পর্যটনকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। পর্যটন শিল্পের কার্যকর উন্নয়ন দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৩’ পালিত হচ্ছে জেনে প্রধানমন্ত্রী আনন্দিত বলে জানান। জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত এবারের প্রতিপাদ্য ‘পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
পর্যটনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনুধাবন করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যটনশিল্পের অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সড়ক, রেল, বিমান ও নৌ যোগাযোগ রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পর্যটনশিল্পের জন্য শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করে এই পৃথিবীর টেকসই অবকাঠামো এবং সবুজ রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে হবে। তাহলেই উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তার মাধ্যমে পর্যটনশিল্পে সত্যিকারের সমৃদ্ধি আসবে।