গাইবান্ধায় বোনকে বিয়ে না দেয়ায় ভাইকে হত্যার অভিযোগ
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৩, ০৩:৩৩ পিএম

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট
গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার তালুক ঘোড়াবান্দা গ্রামের সৌদি প্রবাসী তাহারুল ব্যাপারীর চার বছর বয়সী ছেলে বায়োজিদ নিখোঁজ হয় গত ৮ মে বিকেলে। পরে ১৩ মে শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামের একটি ধান খেত থেকে শিশুটির দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে নিহত শিশুর মা রায়হানা বেগম অভিযোগ করেন প্রতিবেশীর চোর ও মাদকাসক্ত ছেলের সাথে তার নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় শিশু বায়োজিদকে তারা হত্যা করেছে।
শনিবার রাতে ঘটনাস্থলে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার উপস্থিত হলে নিহত শিশুর মা রায়হানা বেগম অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী সুদের কারবারি সিরিকুলের ছেলে রোমান এলাকায় চোর ও মাদকসেবী হিসাবে পরিচিত। রোমানের পরিবার আমার ৮ম শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে তিশাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তাতে আমরা রাজি না হওয়ায় তারা আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দেয়। এই কারণেই তারা পরিকল্পনা করে আমার সন্তান বায়োজিদকে হত্যা করেছে।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেনের কাছে তিনি হরিণাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক বুলবুলের ভূমিকার চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাতেই লাশ উদ্ধারের পর বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী সিরিকুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ও আগুন দেয়। পরে পলাশবাড়ি ও গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর সিরিকুলের পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে সড়ে পড়ে।
পলাশবাড়ি থানার এসআই রাজু ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ৮ মে শিশু নিখোঁজের পর তারা মা পলাশবাড়ি থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। তবে চেষ্টা করেও শিশুটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
ঘটনার ৫দিন পর স্থানীয় দুই ব্যক্তি ধান খেতে কাজ করার সময় শিশুটির অর্ধগলিত খন্ডিত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে আমরা ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।